Bd বাংলাদেশ

সরকারের কাছে অস্ত্র এবং গানম্যান চেয়েছেন শফিকুর রহমানসহ ৪০ জন ব্যাক্তি!

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন একাধিক রাজনীতিবিদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে কেউ কেউ একই সঙ্গে নিরাপত্তা ও অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়েছেন। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ১৫ জন রাজনীতিবিদ নিরাপত্তা, গানম্যান বা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছেন। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ২৫ জন সরকারি কর্মকর্তাও।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের জন্য সার্বক্ষণিক গানম্যান ও বাসভবনের নিরাপত্তায় সশস্ত্র পুলিশ সদস্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহম্মেদ সেখসহ আরও কয়েকজনের জন্যও নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনার পর রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা চাওয়ার আবেদন ও খোঁজখবর নেওয়া বেড়েছে। তবে এর আগেও কিছু আবেদন ছিল। তিনি জানান, কাকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বা গানম্যান দেওয়া হবে, তা নির্ধারণে চলতি সপ্তাহে বৈঠক করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে শহিদ শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান। হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল করিমকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ প্রেক্ষাপটে ১৪ ডিসেম্বর ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা–২০২৫’ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শফিকুর রহমানের নিরাপত্তা চেয়ে ১৭ ডিসেম্বর আবেদন করেন জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি আ ফ ম আবদুস সাত্তার। আবেদনে বলা হয়, দলীয় প্রধান হিসেবে তার কর্মসূচি বেড়েছে এবং সারা দেশে সফরের কারণে নিরাপত্তা প্রয়োজন। জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের কাছে বিধি অনুযায়ী নিরাপত্তার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্যও আবেদন করা হবে।

এদিকে অলি আহমদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর আবেদন শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার আগেই করা হয়। অলি আহমদের আবেদনে নির্বাচনী প্রচারের সময় পুলিশের একটি গাড়ি চাওয়া হয়েছে। তিনি ১৩ ডিসেম্বর বলেন, “আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মাসখানেক আগে আবেদন করেছি, কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।”

জোনায়েদ সাকি পুলিশ সদস্য ও গানম্যান চেয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য হুমকির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং নিয়মিত চলাচলের কারণে নিরাপত্তা প্রয়োজন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ঢালাওভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স দিলে অপব্যবহারের ঝুঁকি থাকে। বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্বাচনের সময় সাধারণত বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন। এবার এখনো এমন নির্দেশনা আসেনি। আরপিও অনুযায়ী ভোটের আগে ও পরে মোট ৯৬ ঘণ্টা বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন নিষিদ্ধ।

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট/আ/মু

Source: thedeltalens.com

Leave a Reply

Back to top button