Bd বাংলাদেশ

একসঙ্গে দুই কলেজে চাকরি এই শিক্ষকের, লাখ লাখ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:

রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মোক্তাদুল হোসেনের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা উত্তোলনের  অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া কোনো প্রকার কমিটি ছাড়াই একক ক্ষমতাবলে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারের নামে প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০১২ সালে তদন্তে অভিযুক্ত হলেও এত বছরেও তার বিরুদ্ধে কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. মোক্তাদুল হোসেন প্রথমে রাধাকৃষ্ণপুর কলেজে চাকরি করেন। ২০০০ সালের ২৯ জুন বিধিবহির্ভূতভাবে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ওই বছরের ১ জুলাই প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এ সময় রাধাকৃষ্ণপুর ও রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে একই সঙ্গে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তিনি অবৈধভাবে দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন। 

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ৮ আগস্ট রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত রংপুর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রভাষক মো. মোক্তাদুল হোসেনের নিয়োগ প্রদান বিধিবহির্ভূত, যা আইনসংগত নয়। তিনি একই সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে উভয় প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন/ভাতাদি গ্রহণ করেছেন, যা বিধিসম্মত নয়। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অত্র দপ্তরে অভিহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 

এদিকে তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অভিযুক্ত হওয়ার ১৩ বছরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এ ছাড়া বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের স্বেচ্ছাচারী অবৈধ অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীনের প্রশ্রয়ে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিধিবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠানের প্রতীকী সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক হয়ে টেন্ডার ছাড়াই ২৫ লাখ ২০ হাজার ৯৮ হাজার টাকার কাজের দায়িত্ব নিয়ে লাখ লাখ টাকা হরিলুট করেন। এদিকে দীর্ঘ দেড় বছর পরে কাজ সমাপ্তের পরে গত ১৫ জুলাই ৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২১ টাকা উদ্বৃত্ত দেখানো হয়। উদ্বৃত্ত টাকা প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে জমাদানের জন্য রংপুর জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ করায় অদ্যাবধি রংপুর জেলা প্রশাসক প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে টাকা ফেরত দেওয়ার অনুমতি প্রদান করেননি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মোক্তাদুল হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। ইতিপূর্বে আমি কোনো তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হইনি। তবে এসব অভিযোগ তুলে ২০১৩ সালে রংপুর জজকোর্টে একটি মামলা করেছিল, যা পরবর্তী সময়ে খারিজ হয়ে গেছে।’ মামলা খারিজের আদেশের কপি প্রতিবেদক চাইলেও দেখাতে পারেননি এই শিক্ষক। 

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট/আ/মু

Source: thedailycampus.com

Leave a Reply

Back to top button