নোয়াখালীতে জামায়াতের মহিলা কর্মীকে জবাই ও গুমের হুমকি বিএনপি নেতার

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:
নোয়াখালী জেলা শহরের নোয়াখালী পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে এক সহিংস ঘটনার অভিযোগ উঠেছে, যেখানে জামায়াতের মহিলা কর্মী তাজ নাহার আক্তারকে জবাই করে হত্যা ও গুমের হুমকির সঙ্গে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বলে সংগঠনটির স্থানীয় নেতারা জানিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদলের কিছু ক্যাডারের জড়িত থাকার কথা অভিযুক্ত করেছেন জামায়াতের নেতারা।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ওই প্রোগ্রামের সময় বিএনপির কোনো ঘোষণার পরপরই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবকদলের একদল দুর্বৃত্ত—জেলার নাম করা এক ক্যাডার গোলাপ নুর রোমানের নেতৃত্বে—জামায়াতের মহিলা কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাজ নাহার আক্তারকে জবাই করে হত্যা ও গুমের হুমকি দেয়ার মতো কড়া ভাষায় ভয় দেখায়। হামলার সময় পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত ছিল এবং পরে এলাকা থেকে দূরপাল্লায় আক্রমণকারীরা সরে যায় বলে দাবি করা হয়।
জামায়াতের স্থানীয় নেতারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এমন হুমকি-ভয় প্রান্তিক পরিস্থিতি ও সাম্প্রদায়িক তত্ত্বকে উসকে দিতে পারে এবং এটি গণতান্ত্রিক আচরণবিধি ও আইন-শৃঙ্খলার লঙ্ঘন। তারা দ্রুত নিরপত্তা ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আক্রমণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত জেলা পুলিশ বা নোয়াখালী থানার অনুমোদিত কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন বা পুলিশ থেকে শক্তকরা কোনো প্রতিক্রিয়া এপর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়।
স্থানীয় মানুষ ও প্রোগ্রাম অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক হুমকি কোনোভাবেই ক্ষমারযোগ্য নয় — এ ধরনের ঘটনা শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে। তারা দাবি করেছেন, তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের শনাক্ত ও শাস্তি দিক কর্তৃপক্ষ।
জামায়াতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুনরায় এমন ঘটনা না ঘটানোর নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় স্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর তদন্ত চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বলে সমাজের বিভিন্ন মহলও উল্লেখ করেছে।
প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট/আ/মু
Source: azadirdak.com