সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আমান উল্লাহর সফলতার গল্পে অনুপ্রাণিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রবাস কণ্ঠ: ক্যাম্পাসের চেনা করিডোর, বন্ধুদের আড্ডা আর ক্লাসরুমের সেই দিনগুলো পেছনে ফেলে যিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশের মাটিতে, তিনিই ফিরে এলেন নিজের উঠোনে। তবে এবার তিনি আর শিক্ষার্থী নন, একজন সফল প্রবাসী প্রকৌশলী। বলছিলাম মালয়েশিয়া প্রবাসী সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আমান উল্লাহর কথা, যাঁর সফলতার গল্প শুনতে বুধবার পূর্ণ ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুম।
‘কনফিডেন্ট মাইন্ডস ক্লাব’ আয়োজিত “উচ্চশিক্ষা ও বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ” শীর্ষক এই সেমিনারটি কেবল একটি তথ্যমূলক আয়োজন ছিল না, বরং এটি হয়ে উঠেছিল এক অনুপ্রেরণার মঞ্চ। যেখানে নিজেদেরই একজন বড় ভাইকে বিদেশের মাটিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে দেখে স্বপ্ন বুনছিল অসংখ্য তরুণ চোখ।
মোঃ আমান উল্লাহ বর্তমানে মালয়েশিয়ার স্বনামধন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘বেঞ্চমার্ক ইনফোটেক’-এ সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া তেরেংগানু থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করা এই তরুণ প্রকৌশলী তাঁর বক্তব্যে কোনো তাত্ত্বিক কথা বলেননি; বলেছেন নিজের পথচলার গল্প। কীভাবে নানা বাধা পেরিয়ে স্কলারশিপ জোগাড় করতে হয়, আবেদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ কেমন হয়, আর সম্পূর্ণ নতুন একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে পড়াশোনা ও চাকরিতে সফল হতে হয়—তুলে ধরেন সেসব বাস্তব অভিজ্ঞতা।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল রাজ্যের প্রশ্ন আর কৌতূহল। প্রশ্নোত্তর পর্বে সাবলীলভাবে তিনি সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্যারিয়ার গড়ার এক বাস্তবসম্মত পথ বাতলে দেন।
নিজের পুরনো ক্যাম্পাসে ফিরে এসে কিছুটা আবেগাপ্লুত শোনালো আমান উল্লাহর কণ্ঠ। তিনি বলেন,
“নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারা সত্যিই এক অসাধারণ অনুভূতি। আমি চাই শিক্ষার্থীরা আরও বড় স্বপ্ন দেখুক এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিদেশে নিজেদের সম্ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হোক।”
অনুষ্ঠানের শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুজন আলী বক্তা মোঃ আমান উল্লাহর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
প্রবাস কণ্ঠ/আ/মু