Bd বাংলাদেশ

দীর্ঘদিনের শরিকদের বেশি আসন ছাড় দিতে নারাজ বিএনপি

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিএনপি তার রাজনৈতিক শরিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে ১৮টি আসনে ছাড় দিয়েছে। আর দলীয় প্রার্থী বদল করেছে অন্তত ১৩টিতে। দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, শরিকদের আরও কিছু আসনে ছাড় দিতে পারে দলটি। একই সঙ্গে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া আরও কিছু আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। এই সম্ভাবনা ২৫টি থেকে ৩০টির মতো হতে পারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার শরিকদের জন্য বিএনপির আসন ছাড়ের সংখ্যা আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ করেছে। যদিও শরিকরা আরও আসন দাবি করছে। সব মিলিয়ে ২০টির মতো আসনে ছাড় দিতে পারে দলটি। এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে শরিকদের জন্য ৫৯টি আসন ছেড়েছিল দলটি।

বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলানোর কারণে এবার বড় পরিসরে আসন ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আগের মতো জোট না থাকায় সমঝোতার পরিধি সংকুচিত হয়েছে। একসময়ের শরিক জামায়াত এবার বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে থাকায় কৌশলগতভাবেই এই পরিবর্তন এসেছে।

নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ইতিমধ্যে দুই দফায় ২৭২টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ২৮টি আসন ফাঁকা রাখা ছিল, যেগুলোতে মূলত শরিক দলগুলোর প্রার্থীরা নির্বাচন করার কথা জানানো হয়েছিল বিএনপির পক্ষ থেকে।

জানা গেছে, ২৭২টি আসনে আগাম আলোচনা ছাড়াই প্রার্থিতা ঘোষণা করায় শরিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে গত ১০ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ২৯টি দল বৈঠকে বসে। সেখানে তারা আসন সমঝোতা নিয়ে বিএনপির অবস্থান ‘স্পষ্টভাবে’ জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ১৩ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে যৌথ বৈঠক এবং ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর আলাদা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির শরিক দল হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ জোট, ১২-দলীয় জোট, ১১-দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, বিজেপি, গণ অধিকার পরিষদ, এনডিএম, চারদলীয় বাম জোট, লেবার পার্টিসহ প্রায় ৫৭টি দল ও জোট ছিল। এ দলগুলো মিলে ২২২টি আসনের দাবি করেছিল বিএনপির কাছে। এর মধ্যে সাবেক বিএনপি নেতা অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) ৪০টি আসন, ১২-দলীয় জোট ২১টি, গণফোরাম ১৫টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯টি, বিজেপি (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি) ৫টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ৬টি এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) ১০টি আসন চেয়েছিল।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত দলটির একাধিক নেতা জানান, ১৮টি আসন ছাড়াও আরও প্রায় ১০ থেকে ১২টি আসনে শরিক ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক বিএনপি। তবে জোটের শরিক অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) সঙ্গে জোট হচ্ছে না, এটা নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার গণ অধিকার পরিষদ ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন রাশেদ খান। দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিতে যোগ দিলেন। রাশেদ খান ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপি প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাশেদ খান তিনি বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। আমি অভিনন্দন জানাই। বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশেদ খান ঝিনাইদহ-৪ আসন যেটা ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ থানা নিয়ে এই আসনে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব, ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিএনপির সব নেতাকর্মীকে মো. রাশেদ খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য এবং তাকে বিজয়ী করতে সর্বশক্তি দেওয়ার জন্য।’

এ সময় রাশেদ খান বলেন, ‘আমি ও নুরুল হক নুর কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে জুলাই বিপ্লবে আমার ভূমিকা সাংবাদিকরা জানেন। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। বিএনপি গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই-সংগ্রাম করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যাকে আমি নিজের আদর্শ মনে করি। বর্তমান বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন ও ভালোবাসেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন থেকে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আমি মনে করি, নতুন বাংলাদেশ গঠনে তার নেতৃত্বে দেশ এবং জনগণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি, সংস্কার, বিচার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। আমি রাশেদ খান আজ (শনিবার) বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এবং তারেক রহমানের নেতৃত্ব দেশ ও জনগণের জন্য সংগ্রাম করে ও কাজ করে যাব।’ এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি কুমিল্লা-৭ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন। বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা নিজ নিজ দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেন। শাহাদাত হোসেন সেলিম লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এবং সৈয়দ এহসানুল হুদা কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন।

এ ছাড়াও বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা-১২ আসনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, পটুয়াখালী-৩ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নড়াইল-২ আসনে এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, যশোর-৫ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি রশিদ, ঢাকা-১৩ আসনে ববি হাজ্জাজকে বিএনপি আসন ছাড় দিয়েছে। পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি কাজী জাফরের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারকে মনোনয়ন দিয়েও তা বাতিল করা হয়েছে। তাকে অন্য একটি আসনে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

তথ্য বলছে, এরও আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের নির্বাচনী সমঝোতায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম চারটি আসনে ছাড় দিয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী-১ থেকে মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ থেকে মনির হোসেন কাসেমী, সিলেট-৫ থেকে আমির উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ থেকে জুনায়েদ আল হাবিব প্রার্থী হবেন এমনটি জানায় বিএনপি। বাগেরহাট-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মন্ডল। গত ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। এরপরই হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

সব মিলিয়ে সীমিত পরিসরে হলেও শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার মাধ্যমে রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টায় রয়েছে বিএনপি। তবে শেষ পর্যন্ত কটি আসনে এবং কোন কোন দলের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার ভিত্তিতে যেসব আসন শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে, ওই আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী থাকবে না। সারা বাংলাদেশে অন্যান্য আসনে ওনাদের কোনো প্রার্থী থাকবে না। আমরা সেই সমঝোতার মধ্যে উপনীত হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দিনের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সম্মিলিতভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য আরও যাদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে বিএনপির, তা পরে জানানো হবে।’

এদিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে পরিবর্তন এনেছে বিএনপি। সমঝোতার মাধ্যমে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে ঢাকা-১২ আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবকে।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও আকবর শাহ-পাহাড়তলী আংশিক) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-১০ আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বর্তমানে তাকে চট্টগ্রাম-১১ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণা পর্বে এ আসনটি ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে এখন দলটির প্রার্থী করা হয়েছে জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দল সভাপতি সাইদ আল নোমানকে। তিনি বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে।

যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতেই প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। যশোর-১ আসনে বিএনপি প্রথমে মনোনয়ন দেয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে। পরিবর্তন করে সেখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে শার্শা উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনকে। যশোর-৪ আসনে প্রথমে মনোনয়ন পান দলের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব। নতুন করে পেয়েছেন দলের অভয়নগর উপজেলা কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজী। যশোর-৫ আসনে প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন পান দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন। পরে জোটের শরিক জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়। যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সদস্য, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। কিন্তু তাকে পরিবর্তন করে দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদকে মনোনয়ন দেয় দলটি।

পিরোজপুর-১ আসনের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। এর আগে বিএনপি জোটভুক্ত জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন দলের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা। তিনি অসুস্থ হওয়ায় সেখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদকে। মাদারীপুর-১ আসনে মনোনয়ন পান কামাল জামান মোল্লা। অবশ্য এক দিন পর মাদারীপুর-১ আসনের ঘোষিত প্রার্থীর নাম স্থগিত করা হয়েছিল। এই আসনে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন নাদিরা আক্তার, যিনি শিবচর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। নাটকীয়তার পর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল কালাম। তিনি তিনবারের সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি। এই আসনে শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপি। ময়মনসিংহ-১০ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু। এর আগে মুশফিকুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট/আ/মু

Source: bdtoday.net

Leave a Reply

Back to top button