কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা চান, জানালেন জামায়াত আমির

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্যসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে শিবিরের নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি জেনারেল) নির্বাচিত হয়েছেন সিবগাতুল্লাহ সিবগা।
সদস্যদের ভোটের ভিত্তিতে সংগঠনটির ২০২৬ মেয়াদে নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে তাকে নির্বাচিত করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিন শর্ত মানলে যেকোনো দল জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করতে পারে বলে মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। তার ভাষ্যে শর্তগুলো হলো—দুর্নীতি করবে না, দুর্নীতিবাজকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। সমাজের সর্বস্তরে সবার জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করা হবে, কোনো রাজনীতিবিদ বিচারে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। সংস্কারের সব সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়, যে শিক্ষা নিয়ে কেউ বেকার থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, অনেকে সংখ্যা গুনে বলছেন, তারা এত কোটি, এত লাখ যুবককে কর্মসংস্থান দেবেন। অন্যদের কী হবে? বলছেন, অন্যদের ভাতা দেবেন। কিন্তু দেশের তরুণেরা কারও কাছ থেকে বেকার ভাতা গ্রহণ করুক, তা তারা দেখতে চান না, শুনতেও চান না। তারা প্রত্যেকের হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাতে পরিণত করতে চান। প্রত্যেকের হাতে কাজ তুলে দিতে চান।
গত ৫৪ বছর ছাত্রদের হাত থেকে কলম কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোমলমতি ছাত্রদের বিভ্রান্ত করে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মিনি–ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হয়েছিল। মেয়েদের ইজ্জত, ছাত্রদের জীবন ও ক্যারিয়ারের কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। সেই কালো অধ্যায় বিদায় নিতে শুরু করেছে। কিন্তু কালো ছায়া এখনো জাতির ওপর থেকে যায়নি। এই কালো ছায়া খতম না করা পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, হামিদুর রহমান আযাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, সেক্রেটারি রেজাউল করিম, মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীরা। এ ছাড়া ছিলেন জামায়াতের নানা স্তরের নেতা-কর্মী।
ইনকিলাব মঞ্চের প্রয়াত আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির বড় ভাই ওমর বিন হাদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট/আ/মু
Source: dailyamardesh.com

