এনসিপিকে ১০টি আসন ছাড়তে রাজি বিএনপি

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ও আসন ভাগাভাগি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা বিশ্লেষণ। দলটি প্রাথমিকভাবে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও, ৬৩টি আসন এখনো খালি রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই আসনগুলো দীর্ঘদিনের যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র দলগুলোর পাশাপাশি নতুন শরিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকতে পারে।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, সব আসন জোটের জন্য নয়। কিছু আসনে দলের একাধিক সম্ভাবনাময় প্রার্থী থাকায় সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে শরিকদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর জন্য ২৫ থেকে ৩০টি আসন ছাড়া হতে পারে। পাশাপাশি, নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যদি জোটে যোগ দেয়, তাহলে তাদের জন্য আরও প্রায় ১০টি আসন ছাড়ার কথা ভাবছে বিএনপি।
তবে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বিএনপির মিত্ররা এবার আর ‘ধানের শীষ’ প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। বরং তাদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই নির্বাচন করতে হবে। এনসিপির ক্ষেত্রে প্রতীক হবে ‘শাপলা কলি’।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে জোট গঠন হলে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (ঢাকা-১১), সদস্যসচিব আখতার হোসেন (রংপুর-৪), সারজিস আলম (পঞ্চগড়-১), নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী (ঢাকা-১৮), তাসনিম জারা (ঢাকা-৯), হাসনাত আবদুল্লাহ (কুমিল্লা-৪), সারোয়ার তুষার (নরসিংদী-২), হান্নান মাসউদ (নোয়াখালী-৬) এবং আদিবুল ইসলাম আদীব (ঢাকা-১৪) থেকে প্রার্থী হতে পারেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “৬৩টি আসন খালি রাখা হয়েছে। সব আসন যে জোটের জন্য রাখা হয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। আন্দোলনে থাকা দলগুলোকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট/আ/মু
Source: azadirdak.com

