Bd বাংলাদেশ

গার্মেন্টস খাতে ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড: বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ধ্বংসে নতুন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:

চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ইপিজেডের ৫ নম্বর এলাকার অ্যাডামস ক্যাপ নামের কারখানায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে, যা দ্রুত পাশের জিন হং মেডিকেল নামের আরেকটি কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলা অগ্নিকাণ্ড কোনো একক দুর্ঘটনা নয়—বরং একটি সংগঠিত নাশকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অর্থনীতিকে টার্গেট করে বিদেশি ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। কিছুদিন আগে দুই লক্ষ কোটি টাকার ফেক নোট ছড়িয়ে অর্থনীতি দুর্বল করার পরিকল্পনা প্রশাসনের নজরে আসে, যা দ্রুত ব্যর্থ করা হয়। সেই ব্যর্থ চক্রান্তের পর এখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস গার্মেন্টস খাতকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গার্মেন্টস সেক্টরে ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোর পেছনে দেশের শিল্পোন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি আন্তর্জাতিক মহলের ষড়যন্ত্র কাজ করছে। শ্রমিকনির্ভর এই শিল্পে আতঙ্ক ও অস্থিরতা তৈরি করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করাই হতে পারে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

চট্টগ্রামের অগ্নিকাণ্ডে অ্যাডামস ক্যাপ ও জিন হং মেডিকেল—দুটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করছে।

শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ী মহল বলছে, সম্প্রতি মিরপুরের গার্মেন্টস এলাকায় ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে যেমন শ্রমিকদের প্রাণহানি ঘটেছিল, আজকের ঘটনাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ হতে পারে। গার্মেন্টস শিল্পকে “নিরাপত্তাহীন” ও “বিনিয়োগের অনুপযুক্ত” প্রমাণ করতে একটি আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চলমান বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

জাতীয় অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র এই শিল্পখাতে যদি দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হয়, তবে তা কেবল একটি শিল্পের ক্ষতি নয়—বরং সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে বলেও তারা সতর্ক করেছেন।

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট/আ/মু

Source: azadirdak.com

Leave a Reply

Back to top button