Bd বাংলাদেশ

শহিদ হাদীর বিচারে এক্টিভিজম করায় জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা সুরভীকে গ্রেফতার

শহিদ হাদীর বিচার চাইতে গিয়ে জুলাইযোদ্ধা তরণীকে মাঝরাতে বাসা থেকে গ্রেপ্তার, আজ ভাই থাকলে ওর পাশে দাঁড়াতো উনার অভাব প্রতিনিয়ত আমারা অনুভব করে যাব। মেয়েটার যে শ্রেনির তাকে নিয়ে খুব একটা কথা হবে নাহ,তার বিপদেও কেউ দাঁড়াবে নাহ সে কোন দল করত নাহ ইনকিলাবের প্রোগ্রামে দেখা যেত।

প্রথম আলোসহ বাংলাদেশের অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি এসেছে। পরিষ্কারভাবেই বলা হয়েছে, সুরভীর বিরুদ্ধে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনীর প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ আছে (প্রথম আলোর লিংক কমেন্টে)। কিন্তু বিডি নিউজের রিপোর্টে শুধু সেনাপ্রধানের কথা বলা হয়েছে (লিংক কমেন্টে)। তাহলে ৫০ কোটি টাকার ভুয়া অভিযোগটা কেন দেয়া হলো?

জুলাইয়ের সম্মুখ সারির যোদ্ধা তাহরিমা সুরভী গ্রেফতার হয়েছেন। মিডিয়ায় ফলাও করে ৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রচার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা হলো সুরভী শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার ও সেনা প্রধানের সমালোচনা করে ফেসবুকে কথা বলেছিলেন।

আরটিভিসহ অনেক মিডিয়ায় সুরভীকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে ‘কথিত জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে! অবস্থাটা দেখেন? আওয়ামী-ভারতীয় মিডিয়া যে জুলাইকে নাই করে দিতে চায় এগুলো হলো তার প্রমাণ। সুরভী যদি কথিত হন, তাহলে জুলাইয়ে যুদ্ধটা করলো কারা? আরো মজার বিষয় হলো, সুরভীর গ্রেফতারে কোন পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ দেখলাম না। বাংলাদেশের অধিকার কর্মী, নারী অধিকারের ধ্বজাধারীদের এজন্য আমি সবসময় ‘একচোখা’ বলি!

সুরভীকে যে প্যাটার্ণে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই প্যাটার্ণটি অলরেডি মানুষের বিশ্বাসে গেঁথে দেয়া হয়েছে। বিশ্বাস করানো হয়েছে, জুলাইয়ের ছাত্র সমন্বয়কেরা চাঁদাবাজ! জুলাই শুধুই একটা গোষ্ঠীর টাকা বানানোর ধান্ধা ছিলো। এর মাধ্যমে হাসিনার খুন, গুম, গণহত্যা ও অপশাসন ঢাকা পড়ে গেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সুরভীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, নাইমুর রহমান দূর্জয় নামে গাজীপুরের এক সাংবাদিকের করা মামলায়। দূর্জয়ের সাথে সুরভীর একটা ঝামেলা হয়েছিলো, এটা সত্য এবং এজন্য সুরভী দূর্জয়ের পায়ে(!) ধরে ক্ষমাও চেয়েছে। সামাজিকভাবে বিষয়টির একটা সুরাহাও সম্ভবত হয়েছিলো (কমেন্ট লিংকের ভিডিও দেখতে পারেন)।

তাহলে দূর্জয়ের মামলা কিভাবে ৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় রুপ নিলো? গভীর রাতে ঘুমন্ত, ‍অসুস্থ (সম্ভবত সুরভীর মা) মানুষদের জাগিয়ে গ্রেফতার করা হলো। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হলো যেন কোন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়েছে। প্রশ্ন হলো, কারা জুলাই যোদ্ধাদের হত্যা, গ্রেফতার ও হয়রানির ব্লু প্রিন্ট বাস্তবায়ন করছে?

অথচ শাওনের নামে আহনাফ তাহমীদ রা মামলা করেছে তাকে কিন্তু এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এনসিপিসহ জুলাইয়ের সকল পক্ষকে বলবো, আর যা-ই করেন, সুরভীদের মতো আরো সহযোদ্ধাদের অন্তত নৈতিক সাপোর্ট দেয়ার একটা ম্যাকানিজম গড়ে তুলেন। অন্যথায়, জুলাইয়ের প্রতিটি প্রাণ হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে!

Mehedi Hasan Murad

Leave a Reply

Back to top button