বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ভারত টার্গেট কিলিং শুরু করেছে: সাবেক শিবির সভাপতি

প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ভারত টার্গেট কিলিং শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিউর রহমান আকন্দ।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সদস্য ও সাথীদের জাতীয় পাঠমূল্যায়ন পরীক্ষার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, জ্ঞানের সর্বোৎকৃষ্ট উৎস হলো কোরআন। বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হলে জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এমন সৃজনশীল আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে আধিপত্যবাদী শক্তি ভারত তাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের লক্ষ্য মুসলিম বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করা। কিন্তু তা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অনেক তরুণ যুবক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামের সুমহান বাণী ছড়িয়ে দিয়েছে, যার মাধ্যমে সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ভারত টার্গেট কিলিং শুরু করেছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র জীবন দিয়ে হলেও দেশের ছাত্র ও যুবসমাজ রুখে দেবে। ইতোমধ্যে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন শরীফ ওসমান বিন হাদি। অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবির সারাবছর একটি নির্দিষ্ট সিলেবাসের আলোকে তার জনশক্তিকে জ্ঞানচর্চায় সম্পৃক্ত রাখে। পাঠমূল্যায়ন পরীক্ষার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানই একমাত্র আয়োজন নয়; বরং ছাত্রবান্ধব আরও নানা কর্মসূচি নিয়মিত পালন করে থাকে। কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ নানাবিধ আয়োজন করা হয়। ছাত্রশিবির তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে ২০ বছরব্যাপী ‘রিডিং মুভমেন্ট’ কর্মসূচি শুরু করেছে, যার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে পড়াশোনার মানসিকতা তৈরি করা হবে।
ওসমান হাদি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ওসমান হাদি ছিলেন সংগ্রামী এক অকুতোভয় সৈনিক। তিনি জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন, তরুণ প্রজন্ম কোনো আধিপত্য মেনে নেবে না। ওসমান হাদির জানাজায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা হতাশাজনক। অবিলম্বে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ন্যানোম্যাটেরিয়ালস ও সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।
বার্তা বাজার/এমএমএইচ
প্রবাস কন্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট/আ/মু
Source: bartabazar.com

