
কি বুঝলেন? গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় 234 বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হইছে।
কারা করছে?
রাজনৈতিক নেতারা।
অথচ ছাদ খোলা একটা দেশে ১৮ কোটি মানুষের বসবাস। না আছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ,না আছে অ্যাটাক যুদ্ধ বিমান।
আরে ভাই, রীতিমতো হুমকি আর যুদ্ধের এই যুগে বেক্কলও তো নিজের বুঝ বুঝে।
আমরা কেন বুঝতে পারি নাই?
শুধু পাচার হওয়া টাকায় আমাদের দেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশ হতে পারত।
এই টাকায় চীন থেকে কেনা যেত ২৫০টি Type-055 Destroyer যুদ্ধজাহাজ (প্রতি জাহাজের দাম ৯২০ মিলিয়ন ডলার)
যা পুরো বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশ লীড করতো।
নাফ নদী বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে থাকতো।
ফ্রান্স থেকে কেনা যেত ২,৭৫০টি Rafale ফাইটার জেট (প্রতি জেট ৮৫ মিলিয়ন ডলার)।
যা বাংলার আকাশ বাতাস মাতিয়ে রাখতো
তখন দাদাদের দেশের শুভেন্দুরা ৪ টা ড্রোন দিয়া বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা ধ্বংস করার সাহস দেখাইতে পারতো না।
কিন্তু বাস্তবে আমরা পেলাম এক দুর্নীতিগ্রস্ত বিক্রিত থলিবিহীন দেশ।
নেতারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে ,জনগণকে ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে রাখে।
নেতা আর বড় বড় আমলরা বাংলাদেশকে ব্যবসার সেন্টার মনে করে ,সুযোগে লুটপাটের ব্যবসা শেষ করে কেনেডার বেগম পাড়া আর যুক্তরাজ্যে আলিশান বাড়ি কিনে।
এবার আসেন, ভারত কেন ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদকে কেন সমর্থন দিয়ে গেলো?
হিসাব সুজা, মানবিক দিক বিবেচনা করে না ভাই,ঐটা ছিলো তাদের কৌশল, যেখানে ছিলো নিজের স্বার্থ রক্ষা।
আওয়ামীলীগ সেই খেলায় দেশের স্বাধীনতা ও ভবিষ্যৎ দুটোই রিস্কে রেখে গেছে।
যদি প্রশ্ন করি!
বাংলাদেশকে কারা শক্তিশালী হতে দেয়নি?
কার স্বার্থে সামরিকখাত উন্নয়ন করা হয়নি?
কারা বাঁধা দিয়েছে?
উত্তর দিয়ে যায়েন!!!
-আনিসুর রহমান